#Hansraj #Raghuwanshi
এখন যিনি 'বাবাজি' নাম পরিচিত | একজন ভারতীয় মেধাবী গায়ক | ব্যাক টু ব্যাক সুপারহিট গান দিয়ে চলেছেন এবং তাঁর গায়কীর প্রতি আকর্ষিত হয়ে ভারতীয় যুব সমাজ ভক্তিতে লীন হয়ে যায় |
কিন্তু কে এই ছেলেটি?
হিমাচল প্রদেশের এক দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা এই ছেলেটির বয়েস মাত্র 27 বছর | হিমাচল প্রদেশের সুন্দর নগর কলেজে লেখাপড়া করতেন,তবে পারিবারিক অর্থনীতি টানাপোড়েন এর কারণে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেননি | এরপর কাজের খোঁজে দিল্লি চলে আসেন 2010 সালে | কিন্তু দিল্লিতেও কর্ম সংস্থানের সুযোগ না পাওয়ার পুনরায় হিমাচল প্রদেশে ফিরে এসে তাঁর নিজের কলেজ ক্যান্টিনেই কোনরকম একটা কাজ করার সুযোগ পান |
ছোট থেকেই ভোলে বাবার একজন ভক্ত ছিলো | ক্যান্টিনে কাজের ফাঁকে ফাঁকে গুনগুন করে ভোলে বাবার ভজন গাইতেন | তাঁর গান শুনতে ভালোবাসতেন অনেকেই | এরপর তাঁর কিছু শুভাকাঙ্খী বন্ধুর সহযোগিতায় ও পরামর্শে 2016 সালে তাঁর একটি গান ইউটিউবে পাবলিস করে |
কিন্তু " অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকায়ে যায় হায় যে নিয়তির কি খেলা" হয়তো বড় সফলতা প্রাপ্তির আগে ঈশ্বর তার ভক্তের পরীক্ষা নিয়ে থাকেন, যাতে সফলতা আসার পরে গ্রাউন্ডেট থেকে মানুষ নিজের সফলতাকে ধরে রাখতে পারে|
তাঁর গানের ভিওয়ার্স দেড় লক্ষ ছাড়িয়ে যাওয়ার পরে ইউটিউব তার পলিসির কারণে গানটিকে ডিলিট করে দেয় | এরপর পুনরায় সে গানটি আপলোড করে অতঃপর আবারও একই কারণে গানটি ডিলিট করে দেয় ইউটিউব কতৃপক্ষ | ততক্ষনে তাঁর গান মানুষ পছন্দ করছে সেই ব্যাপারে ক্লিয়ার হয়ে যায় | বারবার আসফলতা তাকে তাঁর গানের প্রতি আরো বেশি সেনসিটিভ করে তুলছিলো| শত বাঁধা বিপত্তিকে টাফ ফাইট দিতে মনের জোরে ফাইনালি কিছু টাকা জোগাড় করে কোন দক্ষ ষ্টুডিওতে গান রেকর্ড করেন এবং ইউটিউব এর সমস্ত গাইডলাইনকে মান্যতা দিয়ে 2016 সালে রিলিজ করে "ভোলে বাবা" গানটি যা মিলিয়ান ভিওয়ার্স পার করে |
বাবাজির জীবনের এই ট্রান্সফরমেশন পিরিয়ড থেকে যুব সমাজের অনেক কিছু শেখার আছে | বর্তমানে ভারতীয় যুব সমাজ যেখানে পাশ্চাত্য গান বাজনাকে আপন করতে গিয়ে নিজের সংস্কৃতিকে সন্মান জানাতে ভুলে যাচ্ছে | সেখানে হিমাচলের এই যুবক শিবের ভজনকে ট্র্যান্ডিং এর রূপ দিতে সক্ষম হয়েছে | তাঁর গানের প্রতিটা শব্দে আছে আধ্যাত্মিকতার মার্ক দর্শন | কেদার নাথকে ঘিরে তাঁর উন্মাদনা আমাদের অন্তরাত্মার দরজা খুলে দিয়েছেন, এখন কেদার নাথ যাত্রা করছে প্রচুর ইয়ং ছেলে মেয়ে |
তার গানের গভীরতার একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই...
"Shiv Sama Rahe Mujhme
Aur Mai Shunya Ho Raha Hoon"
শিব অর্থাৎ সত্য সুন্দর মঙ্গলময় যা কিছু, "শূন্য হয়ে যাওয়া" মানে অতীত থেকে মুক্ত হয়ে, ভবিষৎ এর চিন্তা না করে বর্তমান ক্ষনকে উপভোগ করো | চিন্তা নয় চিন্তনে মগ্ন হও| ইগো, অহং, আমিত্বকে ভুলে গিয়ে completely surrender to god...এই
state of mind এ আসাই হচ্ছে "শূন্য কা উর্জা"....
আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদল প্রয়োজন | "ঈশ্বরের আশীর্বাদ" বলতে আমরা যা বুঝি, বিনা কর্মে ফল লাভের আশা | আসলে কি তাই? ভগবান কোন আঁকার রূপে নেই, তিনি আছেন আমাদের আশেপাশেই এনার্জি ফর্মে | প্রতিনিয়ত আমাদের intuition power আমাদের গাইড করে যায়, আমরা বাহ্যিক বস্তুর প্রতি এতটাই মোহিত হয়ে থাকি যে, এত শোরগোলের তাণ্ডপে, নিজের intuition guidance কে উপেক্ষা করে পরের উপদেশ গ্রহণ করি | প্রতিটা আত্মা পরমত্মার অংশ | অন্তরের যে শক্তি তা স্বয়ং ডিভাইন কলিং এবং তিনি আমাদের ইচ্ছা শক্তিকে বাড়িয়ে দেন, সঠিক রাস্তা দেখান, আমরা সচেতন হলে সেই রাস্তা বাছাই করে সাকসেস হওয়ার দিকে এগিয়ে যাবো |
জয় ভোলানাথ 🔱🔱🔱🔱
No comments:
Post a Comment