Thursday, 24 August 2023

जानिये भारत भूमी के बारे मे विदेशियों की राय...

अलबर्ट आइन्स्टीन - हम भारत के बहुत ऋणी हैं, जिसने हमें गिनती सिखाई, जिसके बिना कोई भी सार्थक वैज्ञानिक खोज संभव नहीं हो पाती।



रोमां रोलां (फ्रांस) - मानव ने आदिकाल से जो सपने देखने शुरू किये, उनके साकार होने का इस धरती पर कोई स्थान है, तो वो है भारत।


हू शिह (अमेरिका में चीन राजदूत) - सीमा पर एक भी सैनिक न भेजते हुए भारत ने बीस सदियों तक सांस्कृतिक धरातल पर चीन को जीता और उसे प्रभावित भी किया।


मैक्स मुलर - यदि मुझसे कोई पूछे की किस आकाश के तले मानव मन अपने अनमोल उपहारों समेत पूर्णतया विकसित हुआ है, जहां जीवन की जटिल समस्याओं का गहन विश्लेषण हुआ और समाधान भी प्रस्तुत किया गया, जो उसके भी प्रसंशा का पात्र हुआ जिन्होंने प्लेटो और कांट का अध्ययन किया, तो मैं भारत का नाम लूँगा।


मार्क ट्वेन - मनुष्य के इतिहास में जो भी मूल्यवान और सृजनशील सामग्री है, उसका भंडार अकेले भारत में है।


आर्थर शोपेन्हावर - विश्व भर में ऐसा कोई अध्ययन नहीं है जो उपनिषदों जितना उपकारी और उद्दत हो। यही मेरे जीवन को शांति देता रहा है, और वही मृत्यु में भी शांति देगा।


हेनरी डेविड थोरो - प्रातः काल मैं अपनी बुद्धिमत्ता को अपूर्व और ब्रह्माण्डव्यापी गीता के तत्वज्ञान से स्नान करता हूँ, जिसकी तुलना में हमारा आधुनिक विश्व और उसका साहित्य अत्यंत क्षुद्र और तुच्छ जान पड़ता है।


राल्फ वाल्डो इमर्सन - मैं भगवत गीता का अत्यंत ऋणी हूँ। यह पहला ग्रन्थ है जिसे पढ़कर मुझे लगा कि किसी विराट शक्ति से हमारा संवाद हो रहा है।


विल्हन वोन हम्बोल्ट - गीता एक अत्यंत सुन्दर और संभवतः एकमात्र सच्चा दार्शनिक ग्रन्थ है जो किसी अन्य भाषा में नहीं। वह एक ऐसी गहन और उन्नत वस्तु है जिस पर सारी दुनिया गर्व कर सकती है।


एनी बेसेंट - विश्व के विभिन्न धर्मों का लगभग ४० वर्ष अध्ययन करने के बाद मैं इस नतीजे पर पहुंची हूँ कि हिंदुत्व जैसा परिपूर्ण, वैज्ञानिक, दार्शनिक और अध्यात्मिक धर्म और कोई नही है ।

Saturday, 12 March 2022

TheKashmirFiles


TheKashmirFiles


আজকের লাঞ্চে কী খাবেন শুনি? 


ধরুন, বেগুনভাজা। গরম গরম ডাঁটিওয়ালা বেগুনভাজা। ডাঁটি তুলে গরম ভাতের সঙ্গে মেখে সবে মুখে গ্রাস তুলতে যাবেন , এমন সময় - 


পাশের বাড়িতে মহা হৈচৈ, গোলমাল। "ধুরর শালা, কার বাবার বিয়ে লেগেছে!"- কাঁচা খিস্তি ছুঁড়ে আপনি বেরিয়ে এসে দেখলেন- 


আপনার পাশের বাড়ির মিত্তিরবাবুর ষোড়শী কন্যাকে খুবলে খুবলে খাচ্ছে একদল হায়েনা। 


নিষিদ্ধ মাস অনেক কষ্ট করে ধৈর্য ধরে থাকার পরে আজ মুক্তকচ্ছ হয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছে মেয়েটির ওপরে, বিনুনি দুলিয়ে যে মেয়েটিকে আপনি রোজ সকালে স্কুলে যেতে দেখতেন খিলখিলিয়ে উড়ন্ত প্রজাপতির মতো, তার মুখ চোখ নাক যোনিদ্বার খুবলে খুবলে খাচ্ছে তারা। চোখেমুখে লালসা, পরিতৃপ্তির মিশেল।  চেটে চেটে তারা স্বাদ আস্বাদন করছে, 


যেভাবে আপনি একটু আগে টেস্ট করছিলেন, বেগুনভাজা। 


কয়েক হায়েনা মহোল্লাসে চিৎকার করছে 


"আসি গাছি পাকিস্তান, বাটা রোস টা বাতানেভ সান" 


"আমরা কাশ্মীর চাই , কাশ্মীরি হিন্দুদের মেয়েদের চাই, তাদের না মর্দ পুরুষদের চাই না!"


আপনি ভয় পেয়ে দরজাটা বন্ধ করে দিলেন।পাশের ঘরে সাউন্ড সিস্টেম অন করে চালিয়ে দিলেন , " ও টুনির মা তোমার টুনি কথা শোনে না আ আ ...!" 


- কী আলফাল বকছেন মশাই? 


- আলফাল নয় স্যার। এভাবেই ধর্ষিতা হয়েছিল ল্যাব অ্যাসিস্ট‍্যান্ট গিরিজা টিক্কু  , নার্স সরলা ভাট, ধর্ষিতা হয়েছিল আরও অনেকেই। কাশ্মীরি পন্ডিত গৃহিণীদের টেস্ট কীরকম , তা চাখতে চাখতে আজাদির মহোৎসব পালন করছিল কাশ্মিরীয়তের ধ্বজাধারীরা! 


- বাকি ভারত, প্রশাসন, ভারত রাষ্ট্র কী করছিল? 


- তারা চুপ ছিল। নীরব। তারা লাইভ দেখছিল, কেউ মুখ ঘুরিয়ে খাচ্ছিল বেগুনভাজা। গরম গরম বেগুনভাজা।


এবার স্বাদ পাল্টান। চিকেন কারি। 


গাছপাঁঠা খেয়ে আপনার মুখে অরুচি ধরেছে। তাই স্বাদ পাল্টাতে ঠিক করলেন ,বাড়িতেই রান্না করবেন চিকেন কারি। 


গেলেন কসাইয়ের বাড়ি। দেখলেন কসাই খুব ব্যস্ত। কেন? 


গত রাতে তারা গুলি চালিয়ে সাফ করে দিয়েছে পাশের চ্যাটার্জি বাবুর গোটা পরিবারকে।  এখন মৃতদেহগুলো টিপে টিপে তারা পরীক্ষা করে দেখছে, কেউ বেঁচে আছে কিনা! 


"মাংসটা টাটকা তো?!" 


- " একদম হাতে গরম। বেশি বকলে হোম ডেলিভারি করে দেওয়া হবে। " 


কসাইয়ের রক্তচক্ষু দেখে কথা না বাড়িয়ে আপনি চুপচাপ চিকেনের প্যাকেট নিয়ে হাঁটা দিলেন বাড়ির দিকে। ফেরার পথে চোখে পড়লো, পরিবারটির লোন সারভাইভার, দশ বছরের বিট্টু, থামের আড়ালে লুকিয়ে কেমন যেন কঠিন দৃষ্টিতে আপনার দিকে তাকিয়ে।


আপনি ভাবতে লাগলেন , এমন ফার্স্ট ক্লাস চিকেন রাঁধলাম, টেস্ট লাগছে না কেন? 


- কী বলে যাচ্ছেন তখন থেকে মশাই? 


- আজ্ঞে যা তা নয়! বিনোদ ধার। ১৯৯৮ সালের ২৫ শে জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন, এভাবেই তার পরিবারের ২৩ জনকে গুলি করে সাফ করে দিয়েছিল সাচ্চা কাশ্মীরিরা ,যাদের অনেকেই ছিল বিনোদেরই প্রতিবেশী।। 


শেষকৃত‍্যের সময় কয়েকজন প্রতিবেশি হাত লাগাতে এলে বিনোদ ধার হিসহিস করে বলেছিল, 


"ছোঁবে না ওদের!" 


-হুমম। 


- বেগুনভাজা হলো। চিকেন কারি হলো। এবার একটু স্বাদ বদলান। 


রসমালাই। সুস্বাদু মিষ্টি রসমালাই। 


অফিস ফেরত আপনি চেটেপুটে খাচ্ছেন রসমালাই। আপনার চোখে পড়লো, পাশের বাড়ির বুড়ি মাসিমাকে একদল লোক চেপে ধরে কী যেন খাওয়াতে চেষ্টা করছে কিন্তু মাসিমা কিছুতেই খাচ্ছেন না। 


কেন? 


মুখ বাড়িয়ে দেখলেন খাদ্যবস্তুটি বড়ই উপাদেয়। মাসিমার বড় ছেলেকে থেঁতলে খুন করা হয়েছে একটু আগে, মেঝেতে পড়ে আছে তাঁর রক্ত মাখা ঘিলু। সেই রক্ত ভাতে মেখে উল্লাস করে , মাসিমাকে খাওয়াতে চাইছে আজাদির যোদ্ধারা, অর্ধচেতন মাসিমা , এত সুস্বাদু খাবারের স্বাদ বুঝতে না পেরে মাথা নাড়িয়েই যাচ্ছেন। 


- হরর ফিকশন লিখছেন নাকি মশাই? 


- আজ্ঞে না। এটাই হয়েছিল। 


২২ শে মার্চ ১৯৯০, টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার বি.কে গাঞ্জু কারফিউ থামার পর যখন বাড়ি ফিরছিলেন পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য তখন তাকে ফলো করা শুরু করে জেহাদিরা, যেই মুহুর্তে তিনি বাড়িতে এসে পৌছোন, সন্ত্রাসীরা দরজা ভেঙে সেখানে প্রবেশ করে। প্রাণে বাঁচতে গাঞ্জু বাড়ির তেতলায় উঠে এক চালের পাত্রের ভেতর গিয়ে লুকোন। তার প্রতিবেশি সাচ্চা কাশ্মীরিরাই তাকে সন্ত্রাসীদের হাতে ধরিয়ে দেয় । 


তারপরে কাহিনী খুব সোজা। গুলি করে খুন করার পরে তার রক্ত দিয়ে চাল মেখে তার স্ত্রী কে জোর করে খাওয়ানো হয়। 


বাকি ভারত নিশ্চুপ । তারা চেটেপুটে খাচ্ছিল, রসমালাই।


কয়েক হাজার বছরের পুরনো সভ্যতা। ললিতাদিত্যের কাশ্মীর, রাণী দিদ্দার কাশ্মীর, যার নামটাই এসেছে মহর্ষি কাশ্যপের নাম থেকে, সেই কাশ্মীর যেখানে লেখা হয়েছিল পঞ্চতন্ত্র। সেখানেই ওয়ান ফাইন মর্নিং কাশ্মীরি পন্ডিতরা দেখতে পেলো, তাদের বাড়িতে পোস্টার, 


"রালিভ গালিভ ইয়া চালিভ" 


অর্থ -  "ধর্মান্তরিত হও , নয়তো মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও, অথবা কাশ্মীর ত্যাগ করো"


জেনোসাইড চললো। কয়েক লাখ কাশ্মীরি পন্ডিত উদ্বাস্তু হলেন, মেয়েরা ধর্ষিতা হলো। খুন জখম লুঠপাট চললো, 


কাশ্মীরকে আজাদ করার মহোৎসব-


ক্লাস স্ট্রাগল দিয়ে জেনোসাইড ব্যাখা করা পেটোয়া বুদ্ধিজীবীরা বারবার এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান, যে ক্লাস স্ট্রাগলে ধর্মান্তরিত করার ,ধর্ষণ করার প্রয়োজন পড়ে কেন?!!


- এই অন্যায়ের দায় কার? 


- ধুসস এ আবার অন্যায় নাকি! কী যেন বলেন! মানবতার সিলেবাস সিলেক্টিভ। হিন্দু মেয়ে তার হিন্দু পরিচয়ের জন্য ধর্ষিতা হলে, হিন্দু পরিচয়ের জন্য হিন্দু মেয়েকে খেয়ে পিকনিক হলে,  হিন্দু পুরুষ তার হিন্দু পরিচয়ের জন্য খুন হলে, সেসব দেখতে নেই ,জানতে নেই, বলতে নেই। 


মাথার উপর ভগবান না থাকলেও মার্ক্স লেনিন আরও অনেকে আছেন, তারা পাপ দেবেন। 


- আপনি বিদ্রুপ করছেন। বুঝলাম! 


- না ঘেন্না করছি। প্রাণপণে ঘেন্না করছি আপনাদের সিস্টেমকে , এই ইকোসিস্টেমকে , এই প্রশাসনকে , আপনাদের এই সুশীলতাকে, আঁতলামিকে। শেষ দিন অব্দি ঘেন্না করতে চাই। 


আর তাই- 


তাই এই সিনেমাটা দেখে এলাম বুইলেন। সিনেমাটায় ঝিঙ্কু নাচ নেই, ফরেন লোকেশন নেই,বড় বড় বাজার গরম গরম করা ডায়লগ নেই- 


আছে কিছু সত্যি ঘটনা। একটি নিঃশব্দ জেনোসাইডের। একপাক্ষিক সিলেক্টিভ সেক্যুলারিজমের। নির্লজ্জতার। 


আপনিও দেখতে আসতে পারেন। অথবা না গিয়ে বাড়িতে বসে খেতেই পারেন, বেগুনভাজা, চিকেন কারি, রসমালাই..! 


"আমার আসল চেহারা কি চিনতে তুমি পারো?

চিনতে যদি পেরেই থাকো, ঘেন্না করো ঘেন্না করো।" 


     ✍ -  চ য় ন    মু খা র্জি


#TheKashmirFiles 


১৯৪৬ - '৪৭ এর বাংলার ঐতিহাসিক পটভূমিকে নিয়ে এরকম একটি সত্যনিষ্ঠ ছবি করার কথা কেউ ভাববেন না ?!!

কেউ নেই  ???


"টুটে হুয়ে লোগ বাতাতে নেহি,

উসে শুনা যাতা হ্যায় !"

Thursday, 3 March 2022

মঙ্গলগ্রহে আটকে পড়লেও ফিরিয়ে আনবে

মঙ্গলগ্রহে আটকে পড়লেও ফিরিয়ে আনবে.. 



যা বুঝলাম আমি আসলে ভারত বলে এই দেশটা নিয়ে যাতা রকম obsessed! আমরা obsessed। হবো না কেন বলুন তো? দেশকে আমরা মাতৃভূমি বলি কিন্তু একটা কাঁটাতার দিয়ে নির্ধারিত দেশ যদি রক্ত মাংসের একটা মানুষ, আটপৌরে মায়ের মতোই ব্যবহার করে, তার রাষ্ট্রনীতি ঠিক করে সন্তানদের কথা ভেবে দেশটাকে নিয়ে পাগলামি করব না?

L

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আসন্ন। দেশগুলি পক্ষ নিচ্ছে, অস্ত্র দিচ্ছে, যুদ্ধ যুদ্ধ করছে। এমন একটা সময় যখন বাকি দেশগুলো নিজেদের নাগরিকদের তড়িঘড়ি ইউক্রেন ছেড়ে চলে আসার নিদান দিয়েই দায় সারছে, ভারত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নিজের ছেলেমেয়েদের ঘরে ঘরে ফিরিয়ে আনছে। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকের পর বৈঠক করছে যুদ্ধে জড়িত দুই দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলে অনুরোধ করছে, যাতে ঘরের ছেলেমেয়েগুলোকে সেফ প্যাসেজ দেওয়া হয়। যুদ্ধ কিছুটা সময় অন্তত বন্ধ রাখা যায়। যাতে ভারতীয়রা ফিরে আসার সুযোগটুকু পায়। রাশিয়া সত্যিই সেফ প্যাসেজ দিল। যুদ্ধ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখলো। ভারতীয়রা বেরিয়ে আসুক। ভারতের ১৩০কোটি মানুষের দাবি। সরকারের দাবি। পক্ষ পরে নেওয়া যাবে, আগে ঘরের ছেলেমেয়েরা ফিরুক। 


ভারতীয় বায়ুসেনা নিজের গ্লোবমাস্টার বিমান নিয়ে  পৌঁছে গেছে ছেলেমেয়েগুলোকে ফিরিয়ে আনতে। কোন রিস্ক নিচ্ছে না সরকার। যদি মিসাইল হামলা হয় অসামরিক বিমানে। যদি গুলি করে নামানোর চেষ্টা করে কেউ? তারচেয়ে সেনাবাহনীর বিমানে নিরাপদে ফিরুক সন্তানেরা। মায়েরা তো এভাবেই নিজের বাবাই আর সোনাইদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তার আর স্বচ্ছন্ডের কথা ভাবে। দেশ বোধহয় আসলে মায়ের মতোই ভালো। 


ওদিকে সমস্ত ছুটি বাতিল করে বিদেশ মন্ত্রকের কর্মচারীরা মহাযুদ্ধে ঘরে ফেরানোর মহাযজ্ঞ শুরু করেছে। যাদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, তারা কিন্তু কেউ দেশের হয়ে, দেশের কাজে ইউক্রেন যায়নি। ব্যক্তিগত স্তরে স্বেচ্ছায় বিদেশে গেছিল। কিন্তু সুষমা স্বরাজের ওই বিখ্যাত উক্তি আছে না, এক ছাত্র বিদেশে পাসপোর্ট টাকা-পয়সার সব হারিয়ে ফেলেছিল। পাগল পাগল অবস্থা। তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে টুইট করেছিলেন ঘরে ফিরিয়ে আনার আকুতি নিয়ে। ভারতীয় সেই ছেলেটিকে আশ্বস্ত করে সুষমা স্বরাজের একটি উক্তি ছিল। "চিন্তা করো না তুমি ভারতীয় তুমি মঙ্গল গ্রহে আটকে পড়লেও ভারত সরকার তোমাকে তোমার দেশে ফিরিয়ে আনবে।"


হয়তো ঠিক এই কারণেই পাকিস্তানের ছাত্রছাত্রীরা পর্যন্ত ভারতের পতাকা হাতে ইউক্রেন থেকে সেফ প্যাসেজ দিয়ে ফিরে আসছেন। হয়তো ঠিক এই কারণেই বারবার ১৩০ কোটি মানুষ গেয়ে ওঠে, "ভায়ের মায়ের এত স্নেহ কোথায় গেলে পাবে কেহ।ওমা তোমার চরণ দুটি বক্ষে আমার ধরি।আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতে মরি।"


©----- ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ

Monday, 21 February 2022

নির্ভয়া কাণ্ড


নির্ভয়া কাণ্ডের এই অপরাধীদের প্রতি আজ সারা দেশের ঘৃণা বর্ষিত হচ্ছে। হওয়াই উচিত। 


তাই আজ এদের এই অবস্থা দেখে কারো মনেই কোন সিম্প্যাথী আসবে না। অনেকেই ভাববে ওরা নাটক করছে, মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার অভিনয় করছে ফাঁসি এড়ানোর জন্য। কিন্তু আমি জানি তা নয়। ওরা কেন দেওয়ালে মাথা ঠুকছে আমি জানি। 


ওরা মাথা ঠুকছে এই আক্ষেপে যে, কেন আমরা হিন্দু ঘরে জন্ম নিয়েছি। তারা ভাবছে, আমরা হিন্দু না হয়ে যদি মুসলমানের ঘরে জন্ম নিতাম তাহলে তো আজ আমাদের ফাঁসি হত না। আমরা বহাল তবিয়তে স্বাধীন ভাবে বাইরে ঘুরতে পারতাম, ঠিক যেমনভাবে আজ মহম্মদ আফরোজ ঘুরছে। আফরোজ তো ওই একই অপরাধের সঙ্গী ছিল। এবং এই কজন ধর্ষণকারীর মধ্যে সে-ই ছিল সবথেকে নৃশংস, নিষ্ঠুর। নির্ভয়া-র যোনির মধ্যে হাত ঢুকিয়ে তার অন্ত্রগুলো সে-ই টেনে বের করে নির্ভয়ার মৃত্যুর কারণ হয়েছিল। সে আজ মুক্ত বিহঙ্গ। আর এরা ফাঁসির অপেক্ষায়। 


মহম্মদ আফরোজ কী করে ছাড়া পেয়ে গিয়েছিল সে কাহিনী অনেকেই জানে। যারা জানে না তারা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন। তার উকিল কোর্টে দাবী করেছিল যে সে নাবালক। সেই দাবীর সমর্থনে আফরোজ এর উত্তর প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক মুসলিম গ্রামের প্রাইমারী স্কুলের হেডমাস্টার এর সার্টিফিকেট কোর্টে পেশ করেছিলেন আফরোজের উকিল। ম্যাজিস্ট্রেট সেই প্রধান শিক্ষক কে কোর্টে এসে সাক্ষী দিতে আদেশ দিয়েছিলেন। সেই প্রধানশিক্ষক স্কুলের একটি ভর্তি রেজিস্টার এর উল্লেখ করে আফরোজের একটি জন্ম তারিখ বলেছিলেন। সেই তারিখ অনুসারে অপরাধের সময় আফরোজ এর বয়স ১৮ বছরের থেকে একটু কম। ম্যাজিস্ট্রেট প্রধান শিক্ষক কে প্রশ্ন করলেন যে, ওই জন্মতারিখের সমর্থনে কোন ডকুমেন্ট আছে কিনা। প্রধান শিক্ষক উত্তর দিলেন যে, ওটা অজ পারাগ্রাম। ওখানকার রীতি অনুসারে বাচ্চার অভিভাবক এসে যে জন্মতারিখ বলে সেটাই স্কুলের খাতায় লিখে নেওয়া হয়। ম্যাজিস্ট্রেট ওই উত্তরেই সন্তুষ্ট হয়ে গেলেন। এবং মহম্মদ আফরোজ কে নাবালক হিসাবে ধরে নিয়ে আমাদের দেশের জুভেনাইল অ্যাক্ট অনুসারে সরকারী হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হল। খেল খতম। মহম্মদ আফরোজ মুক্ত।


প্রশ্ন হচ্ছে, নির্ভয়া কান্ড নিয়ে যখন গোটা দেশ উত্তাল, ওই রেপিস্টদের নৃশংসতায় মানুষের ঘৃণা এক জন আন্দোলনের রূপ নিয়েছে, তখন ওই মহামান্য ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় একটু ভাবলেন না যে আইনের ফাঁক গলে এখন নৃশংস ঘৃণ্য অপরাধী গলে বেরিয়ে যেতে পারে! ওই মহম্মদ আফরোজ এর বোন ম্যারো টেস্ট করে ওর সঠিক বয়স নির্ধারণ করা যেত না? করা উচিত ছিল না?


 এই তো কিছুদিন আগে এর থেকে অনেক হালকা একটা কেসে দেখলাম ম্যাজিস্ট্রেট অপরাধীর বয়স নির্ধারণের জন্য ওই আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু নির্ভয়া কাণ্ডে সেই আদেশ দেওয়া হল না। কারণ ও যে মহম্মদ! ও যে বিনয় নয়। ও যে আফরোজ! ও যে অক্ষয় নয়। তাই প্রসিকিউশন অর্থাৎ সরকারী উকিলও ওর সঠিক বয়স নির্ধারণের জন্য বোন ম্যারো টেস্ট এর দাবী তুললেন না।


তাই আজ তিহার জেলে অক্ষয়, বিনয়, মুকেশ আর পবন জেলের দেওয়ালে মাথা ঠুকে দেওয়াল রক্তাক্ত করে দিচ্ছে - ওদের পরিণতি আর ওদের সাগরেদ মহম্মদ আফরোজের অন্য পরিণতির কথা ভেবে। নিজেদের হিন্দু ধর্মে জন্মগ্রহণের দুর্ভাগ্যের কথা ভেবে।


পথপ্রদর্শক মাননীয় তপন ঘোষ

22nd February 2020

Tuesday, 15 February 2022

লুইজান আল হাথলাউল

 


লুইজান আল হাথলাউল, সৌদি আরবের 

শরিয়তি ইসলামি আইনে নারীদের উপর অকথ্য অত্যাচারের কথা 
সমগ্র বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছিলেন। কুপ্রথার প্রাচীর ভেঙে 
চালিয়েছেন গাড়ি, ছেড়েছেন হিজাব, গড়ে তুলেছেন গণ আন্দোলন।


এরজন্য অত্যাচার কম হয়নি লুইজানের উপরে। ১০০০ দিনের 
কারাবাস হয়েছে, সেখানে জেলকর্মীরা তাকে লাগাতার ধর্ষণ 
করেছে। পুরুষ বন্দীদের মাঝে বসিয়ে দেখানো হয়েছে পর্ণোগ্রাফি, 
সিলিং থেকে ঝুলিয়ে মারা হয়েছে তাকে। তবে এত যন্ত্রণা দিয়েও 
রোখা যায়নি তাঁকে, তাঁর লড়াইকে। 

সম্প্রতি কারাবাস থেকে মুক্তি পেলেন তিনি। সমগ্র বিশ্বের কোটি 
কোটি নারীদের আদর্শ মানবীরূপী এই দেবীকে আমার অন্তরের 
প্রণাম।

বাংলাদেশে দুর্ঘটনা সাজিয়ে হত্যা

 দীপক সুশীল বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়েছিলো একটা মন্দির করার জন্য। বাড়িতে ১০ বছর ধরে দুর্গা পুজা করত তার বাবা। মন্দির তৈরী করতে ইট সিমেন্ট কেনার পর বাড়িতে এসে হামলা চালায় ৪০-৫০ জনের শান্তি বাহিনী । হুমকি দেয় মন্দির বানানোর চেষ্টা করলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। এই হুমকিতে ভয় পেয়ে স্ট্রোক হয়ে  মারা যান বাবা সুরেশ চন্দ্র। তার শ্রাদ্ধ করে ফিরে আসার সময় একটি নম্বরপ্লেটহীন পিকআপ ভ্যান পরিকল্পিতভাবে সুরেশ চন্দ্রের ৫ পুত্র ও এক কন্যাকে পিষে দিয়ে হত্যা করে ফেলে। এটি রোড এক্সিডেন্ট নয়, রাস্তার থেকে দুই হাত দূরে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলিকে পিকআপ ভ্যানটি পিষেই শুধু মেরেনি, একজনকে আহত মনে করে ফিরে এসে ফের পিষে দিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। 


এতবড় ধর্মীয় ম্যাসাকার ঘটে গেছে মানবতাবাদীদের কোন সাড়াশব্দ নেই! কারণ যাদের উপর ম্যাসাকার হয়েছে তাদের মাথায় হিজাব ছিলো না। মুখেও ছিলো না সুন্নতী দাড়ি। নামগুলোও আরবী নয়। মিডিয়াও তাই ভাইরাল করেনি। বিবিসি আনন্দবাজারের মত কাগজগুলি যদি ঘটনাটি উল্টো হতো, মসজিদ বানানোর উদ্যোগ নেয়ায় পরিবারের ৫ জনকে হত্যা করা হযেছে- তাহলে তাদের কভারেজে জাতিসংঘের মহাসচিবকে পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে হতো। বাংলাদেশের কাগজগুলি সুরেশ চন্দ্রে বাড়িতে হামলাকারীদের পরিচয় দিয়েছে ‘দুর্বৃত্ত’। এরাই সরস্বতী পুজার আগে দেশজুড়ে মূর্তি ভেঙ্গেছে। এরাই গদা ইকবালকে দিয়ে কুরআন মন্দিরে রেখে সারাদেশে হামলা চালিয়েছে। এরাই শ্লোগান দেয় নারায়ে তাকবির আল্লা আকবর। তবু এদের নাম কিছুতে ‘মুসলমান’ বলা যাবে না!


মুসকানের মাথায় কাপড় থাকাটা পৃথিবীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু পাকিস্তানে আর নতুন করে কোন মন্দির গুরু দুয়ার না বানানোর উপর বিল পাশ নিয়ে বিশ্ব মিডিয়াতে ব্লাক আউট। সুরেশ চন্দ্রের পরিবারের উপর এতবড় ধর্মীয় ম্যাসাকার দুদিনেই চাপা পড়ে যাবে কারণ ভারতীয় উপমহাদেশের লিবারাল রাজনীতিতে হিজাবের বাজার আছে সুশীল চন্দ্রের নেই। বাংলাদেশে যদি মন্দির তৈরি হবে আর মূর্তি পুজাই হবে তাহলে কি বা ল ফেলতে দেশ স্বাধীন করছিলাম...। লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ীই যে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হয়েছিলো সুশীল চন্দ্রদের প্রতি এই রকম ম্যাসাকার ঘটার পরও ফেইসবুকের কবি মানবতাবাদীদের নিরবতাই বুঝিয়ে দেয়।


Thursday, 27 January 2022

পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দিয়ে সন্ধ্যা মুখার্জি কি এটা ঠিক করছেন ???



পদ্মশ্রী_ফিরিয়ে_দিয়ে ##সন্ধ্যা_মুখার্জি_কি_এটা_ঠিক_করছেন ???


১৯৪৭ - ১৯৬৪ সাল জহরলাল নেহেরুর সরকার। 

সন্ধ্যা মুখার্জি তখন ৩৩ বছর।


১৯৬৪ - ১৯৬৬ সাল লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর সরকার। 

সন্ধ্যা মুখার্জি তখন ৩৫ বছর।


১৯৬৬ - ১৯৭৭ সাল ইন্দিরা গান্ধীর সরকার। 

সন্ধ্যা মুখার্জি তখন ৪৬ বছর।


১৯৭৭ - ১৯৭৯ সাল মোরারজি দেশাইয়ের সরকার। 

সন্ধ্যা মুখার্জি তখন ৪৮ বছর।


১৯৭৯ - ১৯৮০ সাল চরণ সিংয়ের সরকার। 

সন্ধ্যা মুখার্জি তখন ৪৯ বছর।


১৯৮০ - ১৯৮৪ সাল ইন্দিরা গান্ধীর সরকার। 

সন্ধ্যা মুখার্জি তখন ৫৩ বছর।


১৯৮৪ - ১৯৮৯ সাল রাজীব গান্ধীর সরকার। 

সন্ধ্যা মুখার্জি তখন ৫৮ বছর।


১৯৮৯ - ১৯৯০ সাল বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংয়ের সরকার। 

সন্ধ্যা মুখার্জি তখন ৫৯ বছর।


১৯৯০ - ১৯৯১ সাল চন্দ্র শেখরের সরকার। 

সন্ধ্যা মুখার্জি তখন ৬০ বছর।


১৯৯১ - ১৯৯৬ সাল পি ভি নরসিংহ রাওয়ের সরকার। 

সন্ধ্যা মুখার্জি তখন ৬৫ বছর।


১৯৯৬ সাল অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকার।

সন্ধ্যা মুখার্জি তখন ৬৫ বছর।


১৯৯৬ - ১৯৯৭ সাল এইচ ডি দেবগৌড়ার সরকার। 

সন্ধ্যা মুখার্জি তখন ৬৬ বছর।


১৯৯৭ - ১৯৯৮ সাল ইন্দ্র কুমার গুজরালের সরকার। 

সন্ধ্যা মুখার্জি তখন ৬৭ বছর।


১৯৯৮ - ২০০৪ সাল অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকার। 

সন্ধ্যা মুখার্জি তখন ৭৩ বছর।


২০০৪ - ২০১৪ সাল মনমোহন সিংয়ের সরকার। 

সন্ধ্যা মুখার্জি তখন ৮৩ বছর।


২০১৪ - ২০২২ সাল নরেন্দ্র মোদীর সরকার।

সন্ধ্যা মুখার্জি এখন ৯০ বছর।


সন্ধ্যা মুখার্জির এত বছর পদ্মশ্রী না পাওয়ার পিছনে দোষারোপ মোদী সরকার, এইরূপ ঘৃণ্য রাজনীতি করা অতিশিক্ষিত বাঙ্গালীদের তীব্র প্রতিবাদ জানাই !!